ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রীষ্মকালে খাবেন এই ৫টি ফল
গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীদের আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস হল দুর্বল জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগ, যাতে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিটি ঋতুতে তাদের খাদ্য খুব সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিছু খাবার আছে যেগুলো রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের চলাচল কম হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে গ্লুকোজের বৃদ্ধি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে শুরু করে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার হজম করতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে, তাই এই মৌসুমে ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারে বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ফাইবার ফুড বলতে এমন খাবার বোঝায় যাতে পানির পরিমাণও যথেষ্ট। গ্রীষ্মে চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন ফল বেছে নিন যা আপনার ক্ষুধা নিবারণ করে এবং চিনিও নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন জেনে নিই এমন একটি ফল সম্পর্কে যা গরমে শরীরে শক্তি জোগাবে পাশাপাশি সুগারও নিয়ন্ত্রণ করবে।
ব্লুবেরি খাওয়া: ব্লু বেরি এমনই একটি ফল যা খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্লুবেরি সেরা ফল হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি খেলে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং চিনিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জামুন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কার্যকর: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খাওয়া খুবই উপকারী। জামুনের পাশাপাশি এর বীজও সুগারের রোগীদের উপকার করে।
পেয়ারা খান, চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকবে: পেয়ারা খাওয়া সুগার নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। গ্রীষ্মে ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। খাবার ঠিকমতো হজম হলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পেঁপে খান: ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় পেঁপে অন্তর্ভুক্ত করুন। পেঁপে যেমন হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, তেমনি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। পেঁপে খেলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পায় এবং হজমশক্তি ঠিক থাকে।
আপেল খাওয়া: ডায়াবেটিস রোগীরাও ফলের মধ্যে আপেল খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনি ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একটি আপেল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে এবং হজমশক্তিও ঠিক থাকবে।